,

শ্যামাপূজা উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা শনিবার উদযাপিত হয়েছে। কালীপূজা নামে পরিচিত এ উৎসবের সঙ্গে একই দিন উদযাপিত হয়েছে দীপাবলি উৎসবও। তবে করোনার কারণে অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবে পূজার আয়োজন করা হয়।

রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে শ্যামা দেবীর পূজা আয়োজিত হয়। পাশাপাশি প্রসাদ বিতরণ, আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি কর্মসূচি ছিল পূজার অনুষঙ্গ। দীপাবলি উদযাপনের জন্য সন্ধ্যায় মন্দির, মণ্ডপ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়।

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় শ্যামাপূজা উদযাপিত হয়। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে সেখানে রাতে পূজা ছাড়াও সন্ধ্যায় দীপাবলি অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে সহস্র প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বালন উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, স্বপন কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল প্রমুখ।

রমনা কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে শ্যামাপূজার তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। মধ্যরাতে পূজা, পাঠা বলি, অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণ ছাড়াও সন্ধ্যায় মন্দিরের গঙ্গাসাগর দীঘির চারপাশে সহস্রাধিক প্রদীপ প্রজ্বালন, আলোকসজ্জা ও আতশবাজি হয়। সোমবার সন্ধ্যাপূজা আয়োজিত হবে।

এ ছাড়া রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠমণ্ডপ, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, বনগ্রাম রোডের রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, জয়কালী মন্দির রোডের রামসীতা মন্দির, রায়েরবাজার শেরেবাংলা রোড কালী মন্দির, পোস্তগোলা শ্মশান, লালবাগ শ্মশান, ঠাঁটারীবাজার, শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, দয়াগঞ্জ, শ্যামবাজার, কোতোয়ালি, উত্তর মুশুণ্ডী, দক্ষিণ মুশুণ্ডী, নারিন্দা, যুগীনগর, নবাবপুর, রাজারবাগ, বাড্ডা, পান্নিটোলা, মতিঝিল, রমনা, গুলশান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে শ্যামাপূজা উদযাপিত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর